বাজিতপুর উপজেলা নিয়ে সমস্ত তথ্য এক সাথে

কিশোরগঞ্জ জেলার অধীনে অবস্থিত বাজিতপুর উপজেলা, বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ অঞ্চল। এর ভৌগোলিক অবস্থান, ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা, এবং স্বতন্ত্র সংস্কৃতি একে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করেছে। এই নির্দেশিকার লক্ষ্য হল, বাজিতপুরের ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য এবং পর্যটন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা।

ঐতিহাসিক বিবরণ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য

বাজিতপুরের নামকরণের বিষয়ে দুটি প্রধান জনশ্রুতি প্রচলিত আছে। মুগল আমলে বায়োজিদ খাঁ নামক একজন রাজকর্মচারীর নামানুসারে এটির নামকরণ হয়েছে বলে মনে করা হয়। আরেকটি জনশ্রুতি অনুযায়ী, মুগল সেনাপতি বায়েজিদ খাঁর সাথে যুক্ত একটি ঘটনার কারণে এই নামকরণ হয়েছে।

ব্রিটিশ শাসনামলে বাজিতপুরের দুলালপুর নদীবন্দর ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র। স্বাধীনতা যুদ্ধে বাজিতপুরের জনগণ মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা রাখে।

বাজিতপুরের সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব, লোকসংগীত, নৃত্য এবং হস্তশিল্প এখানকার সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

বাজিতপুর নামকরণের বিষয়ে মূলত দুটি জনশ্রুতি প্রচলিত আছে:

প্রথম জনশ্রুতি:

  • মুগল আমলে বায়োজিদ খাঁ নামক একজন রাজকর্মচারী তার তিন ভাইকে নিয়ে দিল্লি থেকে এসে বাজিতপুরের আশেপাশে বসতি স্থাপন করেন।
  • তাদের বাসস্থানের নামে এই এলাকার নাম বায়োজিদপুর হয়।
  • পরবর্তীতে উচ্চারণের পরিবর্তনের ফলে বায়োজিদপুর থেকে বাজিতপুর হয়ে ওঠে।
  • এই সময় তাঁদের ভাইদের নামানুসারে পৈলনপুর, ভাগলপুর এবং দিলালপুর নামেও কিছু স্থানের উদ্ভব হয়।

দ্বিতীয় জনশ্রুতি:

  • মুগল সেনাপতি বায়েজিদ খাঁকে হাওড়া অঞ্চলে ঈশা খাঁর আক্রমণ ঠেকাতে পাঠানো হয়েছিল।
  • বায়েজিদ খাঁ ঘোড়াউত্রা নদীর কাছে বর্তমান বাজিতপুরে অবস্থান নেন।
  • তবে এই যুদ্ধের বিস্তারিত কোন ঐতিহাসিক তথ্য পাওয়া যায় না।
  • তাই এই জনশ্রুতিটি তেমন বিশ্বাসযোগ্য মনে করা হয় না।

কোন জনশ্রুতিটি সত্যি:

উপরের দুটি জনশ্রুতির মধ্যে প্রথমটি অর্থাৎ বায়োজিদ খাঁর নামানুসারে বাজিতপুর নামকরণের ঘটনাটিই বেশি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করা হয়। কারণ এই জনশ্রুতির সাপক্ষে আরো কিছু স্থানের নাম (পৈলনপুর, ভাগলপুর, দিলালপুর) এর সাথে মিল রয়েছে।

বাজিতপুর নামের উৎপত্তি সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায় না। তবে উপরের দুটি জনশ্রুতি থেকে বোঝা যায় যে, বাজিতপুর নামটি মুগল আমলের কোন একজন ব্যক্তির নামানুসারে রাখা হয়েছিল।

বাজিতপুর উপজেলার সার্বিক পরিচয়

  • অবস্থান: কিশোরগঞ্জ জেলার উত্তরে অবস্থিত।
  • আয়তন: ১৯৩.৭৬ বর্গ কিলোমিটার।
  • সীমানা: উত্তরে কটিয়াদি, নিকলী এবং অষ্টগ্রাম উপজেলা, দক্ষিণে কুলিয়ারচর এবং সরাইল উপজেলা, পূর্বে অষ্টগ্রাম এবং নাসিরনগর উপজেলা আর পশ্চিমে কটিয়াদি উপজেলা।
  • নামকরণ: বায়োজিদ খাঁ নামক একজন রাজকর্মচারীর নামানুসারে বাজিতপুর নামকরণ হয়েছে।
  • প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য: নদী, খাল, বিল সমৃদ্ধ।
  • ঐতিহাসিক গুরুত্ব: মুগল আমল থেকেই বসতি স্থাপিত। ব্রিটিশ আমলে দুলালপুর নদীবন্দর ছিল গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক দিক

  • জলবায়ু: উপশহরীয়, গ্রীষ্মকাল গরম, শীতকাল হালকা এবং বর্ষা মৌসুমে ভারী বৃষ্টি হয়।
  • কৃষি: ধান, পাট, গম, আলু প্রধান শস্য। মাছ চাষ, পশুপালনও হয়।
  • শিল্প: রাইস মিল, স’মিল, লোহার কারখানা, বরফ কল ইত্যাদি।
  • কুটির শিল্প: চাঁপা শুঁটকি, কাঁঠের কাজ, স্বর্ণকার, কামার ইত্যাদি।
  • যোগাযোগ ব্যবস্থা: পাকা রাস্তা, মাটির রাস্তা, রেলওয়ে এবং জলপথ।

জনসংখ্যা ও সাক্ষরতা

  • জনসংখ্যা: প্রায় ১৯৭০৮১ জন।
  • সাক্ষরতা: গড় সাক্ষরতা ২২.১%।

প্রশাসনিক বিভাগ

  • থানা প্রতিষ্ঠা: ১৮৩৫ সালে।
  • উপজেলায় রূপান্তর: ১৯৮৩ সালে।
  • ইউনিয়ন পরিষদ: ১২টি।
  • মৌজা: ৯২টি।
  • গ্রাম: ১৭৮টি।

দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহাসিক নিদর্শন

  • দেওয়ানবাড়ী মসজিদ
  • পাগলা শংকরের আখড়া
  • জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
  • বেংলা ফিসারী
  • অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থাপনা

শিক্ষা ব্যবস্থা

  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয় ইত্যাদি।
  • স্বাক্ষরতার হার: ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য

  • লোকসংগীত, নৃত্য ও হস্তশিল্প: সমৃদ্ধ সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ।
  • ধর্মীয় উৎসব: বিভিন্ন ধর্মের মানুষেরা তাদের নিজ নিজ উৎসব পালন করে।

পর্যটন সম্ভাবনা

বাজিতপুরের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ভৌগোলিক বৈচিত্র্য একে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করেছে। পর্যটকরা এখানে এসে ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখতে পারেন, স্থানীয় সংস্কৃতি উপভোগ করতে পারেন এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।

বাজিতপুর উপজেলার প্রধান নদী সমূহের মধ্যে রয়েছে:

  • মেঘনা: এই নদী বাংলাদেশের বৃহত্তম নদীগুলির একটি এবং বাজিতপুরের ভৌগোলিক গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • ব্রহ্মপুত্র: এই নদী বাজিতপুরের বিভিন্ন এলাকার ভূ-ভাগ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
  • ঘোড়াউত্রা: এই নদী বাজিতপুরের আশেপাশে বয়ে যায় এবং স্থানীয় জনজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

এছাড়াও বাজিতপুরে আরো অনেক ছোট ছোট নদী ও খাল রয়েছে যা স্থানীয় জনজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এই নদীগুলোর গুরুত্ব:

  • জলসম্পদ: এই নদীগুলো স্থানীয় জনগণের জন্য পানীয় জল, সেচ এবং মাছ চাষের উৎস।
  • পরিবহন: আগেকার দিনে এই নদীগুলোকে ব্যবহার করে মানুষ এবং মালামাল পরিবহন করা হতো।
  • জীবনযাত্রা: এই নদীগুলো স্থানীয় জনজীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

বাজিতপুর শহরের সাধারণ চিত্র

  • আকার: ৯.৮৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট এই শহরটি একটি মধ্যম আকারের শহর।
  • জনসংখ্যা: প্রায় ১৯৭০৮১ জন। পুরুষ ৫০.৭৬%,মহিলা ৪৯.২৪%।  পুরুষ ও মহিলার অনুপাত প্রায় সমান।
  • প্রশাসনিক বিভাগ: ৯টি ওয়ার্ড এবং ২৮টি মহল্লায় বিভক্ত।
  • শিক্ষার হার: ৪১.৪% সাক্ষরতার হার সুচিত করে যে, শহরের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ শিক্ষিত।
  • ঐতিহাসিক পৌরসভা: ১৮৬৯ সাল থেকেই পৌরসভা হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে, যা এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব নির্দেশ করে।

শহরের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আরও জানা যায়:

  • বৃদ্ধিশীল শহর: একটি পুরানো পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও, বাজিতপুর সম্ভবত জনসংখ্যা ও অর্থনীতির দিক থেকে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  • শহুরে জীবন: ৯টি ওয়ার্ড এবং ২৮টি মহল্লায় বিভক্ত হওয়া সত্ত্বেও, শহরের আকার ছোট হওয়ায় এখানে গ্রামীণ ও শহুরে জীবনের মিশ্রণ লক্ষ্য করা যায়।
  • শিক্ষার উন্নয়ন: ৪১.৪% সাক্ষরতার হার ইঙ্গিত করে যে, শিক্ষার দিকে বাজিতপুর উন্নতি করছে।
  • ঐতিহ্যবাহী শহর: ১৮৬৯ সাল থেকে পৌরসভা হওয়ায়, বাজিতপুরের একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে।

ভবিষ্যতে বাজিতপুর

  • উন্নয়নের সম্ভাবনা: পৌরসভা হিসেবে বাজিতপুরের আরও উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে।
  • পর্যটন: ঐতিহাসিক স্থান এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থাকায় পর্যটন খাতে বিকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।
  • শিক্ষা: শিক্ষার মান উন্নয়নের মাধ্যমে মানব সম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি গনহত্যা স্থানঃ সরারচর রেল গেট।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানঃ মসজিদ ১২৫, মন্দির ১২, গীর্জা ৪।

জনসংখ্যাঃ ১৯৭০৮১; পুরুষ ৫০.৪৯%, মহিলা ৪৯.৫১%; মুসলিম ৮৭.৪৯%, হিন্দু ১২.৫১%; পৌত্তলিক ৫৭২টি পরিবার।

স্বাক্ষরতা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানঃ গড় স্বাক্ষরতা ২২.১%; পুরুষ ২৭.৮%, মহিলা ১৬.৪%।



শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানঃ


কলেজ ১টি, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ১টি, নার্সিং কলেজ ১টি, উচ্চ বিদ্যালয় ১২টি, জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় ২টি, মাদ্রাসা ১০টি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮২টি, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৪; উল্লেখ্য বাজিতপুর এইচ. ই. স্কুল(১৮৯০)।

  • জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল, বাজিতপুর
  • বাজিতপুর হাফেজ আব্দুর রাজ্জাক পাইলট মডেল ঊচ্চ বিদ্যালয়
  • আফতাব উদ্দীন স্কুল এন্ড কলেজ
  • বাজিতপুর রাজ্জাকুন্নেছা বালিকা মহাবিদ্যালয়
  • বেগম রহিমা বালিকা উচ্চ বিদ্যা্লয়
  • দিলালপুর আব্দুল করিম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়
  • বাহেরবালী উচ্চ বিদ্যালয়, মাইজচর
  • দিঘীরপাড় নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
  • ডুয়াইগাও সুলতানপুর উচ্চ বিদ্যালয়
  • হালিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়
  • হিলিচিয়া উচ্চ বিদ্যালয়
  • কমর আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়
  • গাজিরচর মফিজুর রহমান রুকন উচ্চ বিদ্যালয়
  • নাজিরুল ইসলাম কলেজিয়েট হাই স্কুল (টাউন স্কুল)
  • পিরিজপুর উচ্চ বিদ্যালয়
  • সরারচর শিবনাথ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ।

সাংস্কৃতিক সংগঠনঃ

ক্লাব ৫২, প্রেস ক্লাব ১, থিয়েটার ক্লাব ১, পাবলিক লাইব্রেরী ১, নারী সংগঠন ১, খেলার মাঠ ৪টি, সিনেমা হল ২টি।

প্রধান পেশাসমূহঃ

কৃষি ৪২.২৯%, মাছ ধরা ২.৬৭%, কৃষি মজদুরি ১৮.৯৭%, দিনমজুর ৪.১৩%, ব্যবসায় ১২.২৮%, যানবাহন ৩.১২%, চাকুরী ৫.২২%, অন্যান্য ১১.৩২%

জমির ব্যবহারঃ

মোট চাষ উপযোগী জমির পরিমান ১৫৮৬২ হেক্টর, এক-ফসলী ৩১.৯০%,দ্বি-ফসলী৫৬.৬১%, ত্রিফসলী ১১.৪৮%; সেঁচের আওতাভুক্ত জমি ১২৮০০ হেক্টর।

কৃষকের মাঝে জমির নিয়ন্ত্রন ৫৫% ভূমিহীন, ৩১% ছোট, ১২% মাঝারী, ২% ধনী চাষী।

জমির মূল্যঃ

প্রথম মানের ০.০১ হেক্টর জমির মূল্য প্রায় ৮৫০০ + টাকা।

প্রধান শস্য ধান,পাট,গম,আলু,মিষ্টী আলু,মটরঁশুটি,শাকসব্জি। বিলুপ্ত বা প্রায় বিলুপ্ত শস্য তিল, তিসি, চিনা, কাউন, তামাক, ডাল, পান। প্রধান ফল আম, কাঁঠাল, কলা, বেল, লেবু, লটকন।

মাছ চাষ, পশুপালন, পোল্ট্রিঃ

মাছের খামার ৭০টি, পশু খামার ৪১টি, পোল্ট্রি ৩৭৫টি, হ্যাচারী ২০ টি।

যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ পাঁকা রাস্তা ৭০কিমি, মাটির রাস্তা ২৮৭কিমি, রেলওয়ে ১০কিমি; জলপথ ৪০কিমি।

ঐতিহ্যবাহী যানবাহন পাল্কি,মহিষের গাড়ি,ঘোড়ার গাড়ি,গরুর গাড়ি,পানসি নৌকা,সরাংগা নৌকা।এই যানবাহনগুলো বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায়।

শিল্পকারখানাঃ রাইস মিল ২৫, স’মিল ১০, লোহার কারখানা ২, বরফ কল ৩, ওয়েল্ডিং ১৫ ।

কুটির শিল্পঃ চাঁপা শুঁটকি ১০০, কাঁঠের কাজ৮০, স্বর্ণকার ৩২, কামার ২৫, কুমোর ৯, দর্জি ১১২, কাঠের নৌকা প্রস্তুতকারক ৭ টি

হাট, বাজার, মেলাঃ মোট হাট বাজার ১৯টি,তার মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ফাতেহপুর (বর্তমান সরারচর), শ্রীধরগঞ্জ; মেলা ৩ টি

প্রধান রপ্তানীজাত পণ্য ধান, ডিম,দুধ, কলা, মুরগী।

এন.জি.ও কার্যক্রমঃ কার্যত গরুত্তপূর্ন এন.জি.ও গুলো হচ্ছে ব্রাক, প্রশিকা, আশা, গ্রামীণ ব্যাংক।

স্বাস্থ্য কেন্দ্রসমূহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ১টি, উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ১টি, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ৯টি

গেস্ট হাউজঃ উপজেলা পরিষদ থেকে ৪ কিঃ মিঃ পশ্চিম দিকে হোটেল ‘শাহিনা’ নামে একটি গেস্ট হাউজ আছে। গেস্ট হাইজটিতে রেলওয়েতে, বাসে এবং অন্যান্য যানবাহনে যাতায়াতের সার্বিক সুবিধা রয়েছে। উক্ত গেস্ট হাউজ শয়ন কক্ষর সংখ্যা- ০৬টি, সাধারণ স্নানাগার -০২টিম পুরুষ স্নানাগার-০২টি, বৈদ্যুতিক পাখা- ০২টি, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা আছে। মেঝ কার্পেটিংসহ হলরুমে অত্যাধুনিক টি,ভি সংরক্ষিত আছে। গেস্ট হাউজটি সার্বক্ষনিক খোলা থাকে। প্রতি রুম ভাড়া ২০০(দুইশত) টাকা। এছাড়া বাজিতপুর ও সরারচরে জেলা পরিষদের ডাকবাংলো রয়েছে যেখানে সল্প খরচে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে ।


আপনি যদি কোন বিশেষ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে দয়া করে জানান।

উদাহরণস্বরূপ:

  • বাজিতপুরের কোন কোন স্থানে পর্যটন করা যায়?
  • বাজিতপুরের স্থানীয় খাবারের নাম কি?
  • বাজিতপুরে কোন কোন উৎসব পালিত হয়?
  • বাজিতপুরে কিভাবে যাওয়া যায়?

আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি সর্বদা প্রস্তুত।

Previous Post Next Post

যোগাযোগ ফর্ম